৫টি গুরুত্বপূর্ণ প্রোবায়োটিক/ Five helpful Probiotic Foods

probiotic foods




প্রোবায়োটিক কি?


প্রোবায়োটিক হচ্ছে এক ধরনের অণুজীব। এটি অন্য প্রাণীর দেহে থাকে এবং যে প্রাণীর দেহে থাকে অর্থাৎ পোষক প্রাণীর শরীরের জন্য উপকারী ভূমিকা পালন করে। সাধারণত একটি মানুষের শরীরে লাখ লাখ অণুজীব বাস করে। এরা বিপাকক্রিয়া এবং রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কোন কারণে দেহে প্রোবায়োটিক এর বা উপকারী জীবাণুর ভারসাম্য নষ্ট হলে ক্ষতিকর জীবাণু গুলো মাথা চাড়া দিয়ে উঠে।

কি কারণে দেহে প্রোবায়োটিকের অভাব দেখা দেয়?

কারণ গুলো হচ্ছে-
. এন্টিবায়োটিক এর যথেচ্ছা ব্যবহার, আরও পড়ুন-  এন্টিবায়োটিক কোর্স শুরুর পূর্বে ১০ টি করনীয়।
.কোন রোগের কারণে,
. অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন,
. সুষম খাদ্যের অভাব,
. মদ্যপান,
. অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার,ফাস্টফুড গ্রহণ কম আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া,
.শরীরে বিভিন্ন রাসায়নিক এর প্রভাব, ইত্যাদি।

এই কারণ গুলোর কারণে শরীরের উপকারী জীবাণু গুলো ধ্বংস হয়ে যায়। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।

টি গুরুত্বপূর্ণ প্রোবায়োটিক


. টক দই-

sore yogurt
টকদই

প্রোবায়োটিক এর অন্যতম উৎস হচ্ছে টকদই। এতে আছে ল্যাকটোব্যাসিলাস বিফিডোব্যক্টেরিয়া। এগুলো অন্ত্রের জন্য খুবই ভালো। এজন্য একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের প্রতিদিন এক কাপ টক দই খাওয়া উচিত।

. আচার-

বাঙালীর খুব প্রিয় একটা খাবার হচ্ছে আচার। আচারে কিন্তু প্রচুর প্রোবায়োটিক আছে। এটি হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। মৌসুমি ফল সবজি দিয়ে আমাদের দেশে আচার বানানো হয়। ঘরে তৈরি আচার খাওয়ার চেষ্টা করুন। তবে উচ্চ রক্তচাপ থাকলে লবণ এড়িয়ে চলুন।

. সয়া দুধ বেভারেজ

soy milk

সয়া দুধ 


সয়াবিন থেকে তৈরি খাবারগুলোতে ল্যাকটোজ থাকে। এগুলো ভালো প্রোবায়োটিক হিসেবে কাজ করে।

. পনির-

cheese
পনির 

পনির খুব ভালো একটি প্রোবায়োটিক। এছাড়াও পনির আছে ভিটামিন , বি-১২, ফসফরাস,ক্যালসিয়াম, রিবোফ্লাবিন ইত্যাদি। প্রতিদিন সামান্য পনির খান।
আরও দেখুন- 


. ডার্ক চকোলেট-

Dark chocolate
ডার্ক চকোলেট

ডার্ক চকোলেট একটি ভালো মানের প্রোবায়োটিক। এছাড়াও এতে আছে আন্টিওক্সিডেন্ট


প্রোবায়োটিক ব্যবহারের কিছু টিপস-

. কোন কারণে এন্টিবায়োটিক এর কোর্স করতে হলে ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নিন কি প্রোবায়োটিক খেতে হবে।

. আজকাল বাণিজ্যিক ভাবেও উৎপাদিত প্রোবায়োটিক টেবলেট, ক্যাপসুল, পাউডার, দই বা দুধ পাওয়া যায়। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এগুলো সেবন করুন।

.অতিরিক্ত যে কোন কিছুই খারাপ। অতিরিক্ত প্রোবায়োটিক খেলে গ্যাস , পেট খারাপ , হজমে গোলমাল, কোস্টকাঠিন্য  ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।

. একেক মানুষের একেক খাবারে এ্যলার্জি  থাকে। সুতরাং যদি এই প্রোবায়টিক গুলোর কোনটিতে এল্যার্জি থাকে তবে তা গ্রহণে বিরত থাকুন।

সুস্থ্য থাকুন, ভালো থাকুন। 

No comments

Powered by Blogger.