এজাহার বা FIR করার ফরম্যাট বা নমুনা। | Format of FIR (First Information Report)


fir


এজহারঃ

অপরাধমূলক কোন ঘটনা ঘটার পর প্রতিকার পাওয়ার জন্য থানায় জানানো কেই বলা হয় এজাহার। ইংরেজিতে একে বলা হয়  FIR (First Information Report) . যে কোন মামলার প্রথম ধাপ হচ্ছে এজাহার।

আরো পড়ুন-



এজাহার লিখিত মৌখিক দুই ভাবেই দেওয়া যাবে। এজাহার থানা বা কোর্ট উভয় জায়গাই করা যায়। থানা যদি মামলা না নেয় তবে কোর্টে উকিলের মাধ্যমে মামলা করা যাবে।

নিচে এজাহারের কিছু নমুনা কপি দেওয়া হল


নমুনা - (থানায় এজাহার করার নমুনা বা ফরম্যাট )


বরাবর,
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
মিরপুর থানা
ডি।এম।পি,
 ঢাকা।

বিষয়: এজাহার প্রসঙ্গে।

জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে , আমি নিম্ন স্বাক্ষর কারিনী  ফাতেমা বেগম, স্বামী: মোঃ খোরশেদ আলম, ঠিকানা: রূপনগর , ঢাকা আপনার থানায় হাজির হয়ে এই মর্মে একটি অভিযোগ দায়ের করছি যে, আসামী: খোরশেদ আলম, পিতা: মনসুর মিয়া, ঠিকানা: কাদিরপুর, নোয়াখালী এর সাথে বিগত ১৪//২০১৫ ইং তারিখে ইসলামী শরীয়া মতে ১০০০০১/- টাকা দেনমোহর ধার্যে বিবাহ সম্পন্ন হয়। উক্ত বিবাহের / মাস পর আসামী খোরশেদ আলম  মোটরসাইকেল কেনার জন্য আমার পিতার নিকট হতে ১০০০০০/- টাকা এনে দিতে বলে। কিন্তু আমি তাতে অস্বীকৃতি জানাই। এরপর সে বার বার আমাকে টাকা আনার জন্য শারীরিক মানসিক অত্যাচার করতে থাকে। অবশেষে গত /০৫/২০১৬ তারিখে বিকাল ৪ঃ০০ ঘটিকার সময় আসামী আমাকে মারধর করতে থাকলে আমার ডাক চিৎকারে সাক্ষী-১। রেজাউল করিম, ২। আমিনা বেগম ঘটনাস্থলে আসলে আসামী আমাকে বলে যে, তুই তোর পিতার কাছ থেকে ১০০০০০/- টাকা নিয়ে আসবি, নাহলে তোকে তালাক দিব।

অতএব, মহোদয়ের নিকট বিনীত প্রার্থনা এই যে, উপরোক্ত বিষয়ে তদন্ত ক্রমে আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে মর্জি হয়।

বিনীত নিবেদক,
 ফাতেমা
ফাতেমা বেগম,
ফোন নম্বর-০০০-০০০০০০০০






নমুনা - (কোর্টে এজাহার করার নমুনা বা ফরম্যাট)


থানায় যদি মামলা না নেয়া হয় তবে কোর্টে মামলা করা যাবে।  নিচে তার একটি নমুনা দেয়া হল-



বিজ্ঞ মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালত, ঢাকা
সি, আর মামলা নং- ১১৮৪/৯৬


মোসাম্মৎ নাছিমা বেগম, পিতা-ইয়াসিন,সাং-,
দুয়ারীপারা,মিরপুর,ঢাকা।

                                                                                _______________________________বাদিনী




বনাম



১। মোঃ খোরশেদ আলম, পিতা: মৃত মনসুর মিয়া,
সাং-কাদিরপুর, নোয়াখালী
বর্তমান রুপঙ্গর থানা, মিরপুর,ঢাকা।

২। সুফিয়া বেগম, স্বামী- মৃত মনসুর মিয়া,
সাং- ,
বর্তমান ঠিকানা- ঐ।

------আসামী গন।



মামলার ধারা: ১৯৮৩ সালের যৌতুক নিরোধ আইনের ধারা।

ঘটনার তারিখ,সময়,স্থান: ২৫/১২/২০১৫, তারিখ ০১/০২/২০১৬ সর্বশেষ ০৩/১১/২০১৬। স্থান- রূপনগর আসামীর ভাড়া বাসা।

হুজুরের আদালতে দরখাস্তকারিনীর বিনীত নিবেদন এইযে,

১। দরখাস্ত কারিণী একজন আশ্রয়হীন ,নিরীহ মহিলা অপরপক্ষে আসামী দুশ্চরিত্র,নারী নির্যাতনকারী ব্যক্তি বটে। নং আসামী নম্বর আসামীর পরামর্শদাতা বটে।
২।বিগত /০১/২০১৫ তারিখে আসামী বাদিনীকে মুসলিম শরীয়া মোতাবেক ১০,০০০ টাকা দেন মোহর ধার্য করিয়া বিবাহ করেন। বিবাহের মাস পর হতে আসামী বাদিনীকে বিদেশ যাওয়ার জন্য পিত্রালয় থেকে ,০০০০০/- টাকা এনে দেবার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। কিন্তু, বাদিনীর পিতার আর্থিক অসামর্থ্য থাকায় বাদিনী এতে অসম্মতি জানায়। এতে ১নং আসামী নং বাদিনীর উপর মানসিক ভাবে নির্যাতন করতে থাকে।

৩।   ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে বাদিনীর গর্ভে আসামীর ঔরসজাত একটি কন্যা সন্তান জন্ম লাভ করে। কন্যা সন্তান জন্ম নেওয়ায় নং আসামী বাদিনীর উপর রুষ্ট হয় এবং নম্বর আসামীকে বলে বাদিনীকে তালাক দিতে।

৪। বিগত //২০১৬ তারিখে  লোভী আসামি বিবাদিনীকে পুনরায় পিতার কাছ থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দেয়। বিবাদিনী তার পিতাকে বিষয়টি জানালে তার পিতা অক্ষমতা প্রকাশ করে। অতঃপর আসামীরা বাদিনীকে মার ধর করে এবং অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে। সেইসাথে বিবাদিনীকে হুমকি দেয় , টাকা না পেলে অন্যত্র বিবাহ করব।

৫।অত্যাচার স্বত্বেও বাদিনী স্বামী গৃহে অতি কষ্টে জীবন যাপন করে।  অবশেষে বিগত /১১/২০১৬ তারিখে নং আসামী বাদিনী কে নির্যাতন করে তার পিতার বাসায় পাঠিয়ে দেয়। সেই অবধি বাদিনী পিতার ঘরে অবস্থান করছে।

৬। বাদিনীর পিতা ৭০ বৎসরের বৃদ্ধ ১১/১২ জন সদস্যের বিশাল সংসার চালাতে তাকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
৭। বাদিনী সন্তান নিয়ে পিতার ঘরে খুবই অর্থনৈতিক টানা পোড়নের মধ্যে দিয়ে দিন যাপন করছে।

এমতাবস্থায় বাদিনীর হুজরাদালতে বিনীত নিবেদন এই যে, হুজুর দয়া বশত: মামলাটি গ্রহণ পূর্বক আসামীদের বিরুদ্ধে যৌতুক আইনের ধার অনুযায়ী গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করত: আসামীদের ধৃত করে ন্যায় বিচার করতে মর্জি হয়।


সাক্ষীগনঃ
১। আসমা বেগম, পিতা- সোরহাব হোসেন,সাং- ১০ নং দুয়ারীপাড়া, মিরপুর, ঢাকা।
২। মোঃ নুরুল আলম, পিতা- মৃত রাজন আলী, সাং-১০ নং দুয়ারীপাড়া, মিরপুর, ঢাকা।
৩। রমজান আলী, পিতা- আনিস আলী, সাং- ১০ নং দুয়ারীপাড়া , মিরপুর ঢাকা।

আরও অনেক সাক্ষী আছে , যাদের নাম পরে দেওয়া হবে।



1 comment:

  1. দঃবিঃ আইনের ৩৬৪/৩৪ ধারার একটা মামলার এজাহার দিলে উপকৃত হতাম।
    ধন্যবাদ

    ReplyDelete

Powered by Blogger.